পশুখামারে ৩৪ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
দেশের পশুখামারগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিকের বহুল ব্যবহারে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। পশুর মাধ্যমে এসব জীবাণু মানুষের শরীরে ঢুকে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে কমছে। এমন পরিস্থিতিতে খামারে ৩৪টি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জীবন রক্ষাকারী এ ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করছে সরকার। এমনকি প্রাণী বা মৎস্য পালন করতে ভেটেরিনারিয়ান, প্রাণী চিকিৎসক, মৎস্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণে দেশের আট বিভাগে আটটি মাইক্রোবিয়াল ল্যাব স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় এই ল্যাব স্থাপন করা হবে।