ডেঙ্গু রোগী ৩ লাখ ছুঁইছুঁই, একদিনে আরও ৪ মৃত্যু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এডিস মশাবাহি ডেঙ্গু ভাইরাস বিস্তারের মধ্যে দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা নিয়ে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন লাখ (২,৯৯,৯৬৪) ছুঁইছুঁই।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গত একদিনে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২০৪ জন ঢাকা মহানগরে এবং ৭১০ জন দেশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন এসব রোগী নিয়ে এ বছর দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ৫ হাজার ১৮৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩০৭ জন ঢাকায় এবং ৩ হাজার ৮৭৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বিস্তারের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর চেয়ে বাইরের জেলাগুলোতে রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় দ্বিগুণ। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার ২৮৮ রোগী ঢাকা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের এবং ঢাকার বাইরে তিনজন। সব মিলিয়ে এ বছর ১ হাজার ৫৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু; যার মধ্যে ৮৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। বাকি ৬৪৪ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে।
মাসের হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬৬, ফেব্র“য়ারিতে ১৬৬, মার্চে ১১১, এপ্রিলে ১৪৩, মে মাসে এক হাজার ৩৬, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৭৬, আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬, সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ এবং অক্টোবরে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। নভেম্বরের ১৮ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৭৮৯ রোগী।
মাসওয়ারি মৃত্যুর হিসাবে জানুয়ারিতে ৬, ফেব্র“য়ারিতে ৩, এপ্রিলে ২, মে মাসে ২, জুনে ৩৪, জুলাইয়ে ২০৪, আগস্টে ৩৪২, সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ এবং অক্টোবরে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ১৮ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের।