Logo
Logo
×

জাতীয়

হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন মিলন-রিশাদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৪ এএম

হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন মিলন-রিশাদ

‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও নবীন কথাসাহিত্যিক মাহবুব ময়ূখ রিশাদ। শুক্রবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে নবমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ইমদাদুল হক মিলন ও নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে ‘রাইরিন্তার শেষ উপহার’ গল্পগ্রন্থের জন্য মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এ পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ইমদাদুল হক মিলনের শংসাবচন পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। মাহবুব ময়ূখ রিশাদের শংসাবচন পাঠ করেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক।

পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আজ আনন্দের সঙ্গে আমার মন বিষাদে ছেয়ে আছে। যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তবে বাঙালি পাঠক তার সৃষ্টিশীলতায় উজ্জীবিত থাকত। আমি মন্ত্রমুগ্ধ থাকতাম, আবিষ্ট হয়ে থাকতাম-সেটাই হতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বলেন, গল্পে আমি ম্যাজিক ক্রিয়েট করতে চাই। সে হোক বাস্তব কিংবা অবাস্তব। এ পুরস্কার আমাকে সেপথে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আবদুল বারী জানান, এ বছর সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা এবং নবীন সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

এবছর সাহিত্য পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন হুমায়ূন আহমেদের ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, স্ত্রী অভিনেত্রী-পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন।

উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, কবি বিমল গুহ, অভিনেতা-নির্দেশক ম হামিদ, কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, হুমায়ূন আহমেদের আরেক ভাই কার্টুনিস্ট কথাসাহিত্যিক আহসান হাবীব প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনটি রবীন্দ্রসংগীত শোনান শামা রহমান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আজকে বাংলাদেশের সাহিত্য যে স্বাতন্ত্র্য নিয়ে এগিয়ে গেছে, হুমায়ূন আহমেদ সে পথ দেখিয়ে গেছেন।

স্মৃতিচারণায় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরক’র প্রথম পাঠক হিসাবে পাণ্ডুলিপি পড়েছিলাম আমি। সে পাণ্ডুলিপি এক বসায় পড়ে ফেললাম। পরে যখন উপন্যাসটি ছাপা হয়, তার প্রচ্ছদও আমি এঁকেছিলাম। আমি প্রথম মানুষ যে প্রথম অনুভব করি, বাংলাসাহিত্যে এমন কেউ আসছেন যার কোনো তুলনা নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম