জমির দলিল রেজিস্ট্রি: উৎসে করের অসংগতি দূর করতে আইনি নোটিশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৯ পিএম
জমি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকার-নির্ধারিত উৎসে করের অসংগতি দূর করতে আইনি নেটিশ পাঠানো হয়েছে। ভূমি, আইন ও বাণিজ্য সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠান।
মো. ফয়জুল্লাহ নোটিশে বলেন, জমির বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকার যে উৎসে কর নির্ধারণ করেছে, তাতে রয়েছে বড় ধরনের অসংগতি রয়েছে। গত ২৬ জুন গেজেট মূলে সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সারা দেশ এভাবে ভাগ করে দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য উৎসে কর নির্ধারণ করে দেয় এনবিআর। যেখানে রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকায় প্রতি কাঠা কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে বিক্রয় মূল্যের ৮ শতাংশ ও ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর নির্ধারণ করে দেয়।
এনবিআর রাজধানীর মধ্যে প্রতি কাঠা একটা ন্যুনতম উৎসে কর নির্ধারণ করে। তবে ওই গেজেটের সংশোধন করে গত ৩ অক্টোবর নতুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ উৎসে কর নির্ধারণ করলেও, যোগ করে দেয় কাঠাপ্রতি সর্বনিম্ন ট্যাক্স। বিপত্তিটা বাধে এখানেই।
ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই এলাকার জমির মূল্যতালিকা দেখা যায়, বাগান/বাঁশঝাড় শ্রেণির জমির মূল্য কাঠাপ্রতি ১ হাজার বা শতাংশ প্রতি ৬৪০ টাকাও রয়েছে। নাল জমির মূল্য ১২ হাজার টাকা শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকাও রয়েছে। কিন্তু এই গেজেটের ফলে ২০ হাজার টাকার জমি বিক্রি করে বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা উৎসে কর দিতে হবে; যেটা বাস্তবসম্মত নয়। এ কারণে বলে বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাফকবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে।
এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই এই নোটিশ দেওয়া হলো বলে জানান নোটিশদাতা আইনজীবী।