Logo
Logo
×

জাতীয়

দেশে হাজারে ৮০ জন মৃগী রোগে আক্রান্ত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

দেশে হাজারে ৮০ জন মৃগী রোগে আক্রান্ত

বাংলাদেশে মৃগী রোগের প্রকোপ প্রতি এক হাজারে ৮০ জন। প্রকোপের হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে মৃগী রোগ বেশি দেখা যায়। মৃগী রোগের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ রয়েছে। প্রতিটি ধরনের চিকিৎসা নির্দিষ্ট ধরনের। কিছু মৃগী রোগ ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। আবার কিছু মারাত্মক ধরনের-যা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এবং এটা মস্তিষ্কের বিকাশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শুরুতেই নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া গেলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

মৃগী সচেতন মাস উপলক্ষ্যে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ব্লক মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)।

সেমিনারে বিএসএমএমইউ’র শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজীদা আহমেদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানানো হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, শিশুদের মৃগী রোগ শুরুতেই নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা করা গেলে দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। মৃগী রোগে খিঁচুনির ওষুধ ছাড়াও কিছু বিকল্প চিকিৎসা বিদ্যমান রয়েছে। বিকল্পগুলো হলো-কিটোজেনিক ডায়েট, ইমিউনোথেরাপি, নিউরোস্টিমুলেশন, এপিলেপসি সার্জারি। তবে মৃগী রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

সেমিনারে আরও বলা হয়, মৃগী রোগ একটি স্নায়বিক রোগ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এর ৮০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে। এটি অনুমান করা হয় যে, মৃগী রোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ খিঁচুনিমুক্ত থাকতে পারে যদি সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়। জীবনের প্রথম ১০ বছরে প্রায় ১৫০ শিশুর মধ্যে ১ জনের মৃগী রোগ ধরা পড়ে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যে কোনো বয়সের মানুষের এ রোগ হতে পারে। যদি কোনো শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সমাজ তাকে অস্পৃশ্য ভাবে। যদিও এ রোগ চিকিৎসায় ভালো হয়। যদি শুরুতে ধরা যায় ও চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ করা যায়। রোগটির সব ধরনের চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু নিউরোলোজি বিভাগ ও ইপনায় হয়ে থাকে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার ও শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান  অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।

সেমিনারে প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা। সভাপতিত্ব করেন ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।  সঞ্চালনা করেন ইপনার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম