প্রথমবার ৫ বাংলাদেশি আইল্যান্ড পিকের শিখরে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পাঁচজনের একটি দল হিমালয়ের আইল্যান্ড পিকের শিখরে পৌঁছাল। এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে Rope4 আউট ডোর এডুকেশন।
পর্বতারোহণকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে পজেটিভ অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষে রোপফোর কাজ করে যাচ্ছে ২০১৭ সাল থেকে। দেশের মাটিতেই হাতে কলমে শিখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করছে হিমালয়ের পর্বত অভিযানের জন্য।
এ বছর ১৩ অক্টোবর ৫ জনের একটি দল নেপাল হিমালয়ে পর্বত অভিযানের জন্য দেশ ছেড়ে যায়। দলনেতা ছাড়া বাকি ৪ জনের জন্যই হিমালয়ে এটাই প্রথম কোনো অভিযান। প্রথমবার অভিযানেই ৬০০০+ মিটারের পর্বত শিখর স্পর্শ করার মতো অর্জনের পেছনে ছিল রোপফোরের প্রতিষ্ঠাতা ও পর্বতারোহণ প্রশিক্ষক মহিউদ্দিন মাহির গাইডেন্স এবং মেন্টরশিপ। সবাইকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য চার মাসের একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন মাহি বাংলাদেশে থেকেই।
অতি উচ্চতার সঙ্গে শারীরিক খাপ খাওয়াতে দলটি বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের বেস ক্যাম্পে অভিযান করে এবং সফল ও সুস্থভাবে দলের সবাই এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ৫৩৬৪ মিটার পৌঁছায় ২২ অক্টোবর এবং ২৩ অক্টোবর দলটি হিমালয়ের আরেকটি পর্বত, কালা পাত্থারের (৫৬৩৯ মিটার) শিখর স্পর্শ করে।
২৫ অক্টোবর দলটির সবচেয়ে বড় অভিযান শুরু হয় হিমালয়ের চুখুং গ্রাম থেকে। এখন থেকেই দলের ৫ জন তরুণ তরুণী এভারেস্ট রিজিয়নের একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্বত আইল্যান্ড পিক অভিযান শুরু করে।
এই দলের সদস্যরা হচ্ছেন- আবরারুল আমিন অর্ণব (এক্সপিডিশন লিডার), তানজিনা রহমান শান্তা, ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা, ডা. সাইফুল ইসলাম বাবলু ও রণজিৎ চৌধুরী।
এই অভিযানের বেস ক্যাম্প ম্যানেজার হিসেবে আইল্যান্ড পিকের বেসক্যাম্পে ছিলেন আহসানুজ্জামান তৌকির। তিনি গত বছর রোপফোরের মিশন হিমালয়া শীর্ষক বাৎসরিক প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যান এবং আইল্যান্ড পিক সামিট করেন।
২৬ অক্টোবর ভোর ১টার সময় দলটি বেসক্যাম্পে থেকে সামিট পুশ করেন। রওনা হওয়ার সময় টেম্পারেচার ফিল ছিল মাইনাস ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যেই দলটি সামিট ক্লাইম্ব শুরু করে।
সব বাধা অতিক্রম করে তরুণ এই দলটির ৫ জনই আইল্যান্ড পিকের শিখর স্পর্শ করে ২৬ অক্টোবর। তারা একসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেখানে; যা দেশের পর্বতারোহণের জন্য একটি সম্মান ও রেকর্ড।
একই অভিযানে হয়েছে আরও একটি অনন্য রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম কোনো ডাক্তার দম্পতি নিজেদের প্রথম হিমালয় অভিযানেই ৬০০০+ মিটার পর্বতের শিখর একসঙ্গে স্পর্শ করেন।