২৮ অক্টোবরের সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

ঢাকায় শনিবার সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাত ৯টায় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার নিন্দা জানায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও তেমনই। আমরা সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আমরা সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করব।
শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। তাদের সমাবেশস্থলের দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইল মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
পরবর্তীতে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকেও সমাবেশের জন্য জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এ সংঘর্ষের সময় একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। শামীম মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন; যাকে যুবদলের নেতা বলে দাবি করছে বিএনপি।এছাড়া বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
একইদিন সারা দেশে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকালে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।