জামায়াত অনুমতি ছাড়া সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: সিটিটিসি প্রধান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫০ এএম
ছবি; সংগৃহীত
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি, তার পরও চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) মতিঝিলের নটরডেম-আরামবাগ মোড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।
এদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় শুক্রবার রাত থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শাপলা চত্বরে প্রবেশের সব পথেই সকাল থেকে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। কাউকেই যেতে দিচ্ছে না চত্বরের দিকে। তবে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে আরামবাগ মোড়ে স্থাপন করা ব্যারিকেড তুলে ফেলেন নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ দ্রুতই নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে আবারও ব্যারিকেড বসায়।
আরও পড়ুন: পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে শাপলা চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা জামায়াতের
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই আরামবাগ মোড় হয়ে শাপলা চত্বরে যাওয়ার পথের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এতে কমলাপুর থেকে আসা পল্টনের সমাবেশমুখী মিছিলগুলোর যেতে সমস্যা হচ্ছিল। সকাল থেকেই এই মোড়ে কয়েক বার বসে পড়ার চেষ্টা করেছেন সমাবেশমুখী নেতাকর্মীরা। পথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক দফা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় পুলিশের সঙ্গে।
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে কমলাপুরের দিক থেকে আসা কয়েকটি মিছিলের নেতাকর্মীরা একযোগে এসব ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেন। এ সময় পুলিশ শান্ত ও সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে ব্যারিকেড ভাঙার পরে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয় পড়ে। পরে পুলিশ হুইসেল দিয়ে নেতা-কর্মীদের দিকে আগাতে থাকলে পিছু হটেন নেতাকর্মীরা। ২ মিনিটের মধ্যে নেতাকর্মীদের কয়েক শ গজ দূরে সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং ব্যারিকেডগুলো আগের স্থানে বসিয়ে দেয়।
মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রাজধানীর আরামবাগ, করিম চেম্বার ভবন, কালভার্ট রোডের মতো শাপলা চত্বরে ঢোকার যত প্রবেশমুখ রয়েছে সবগুলোই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্যারিকেড পার হয়ে কাউকেই শাপলা চত্বরের দিকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। দু-একজন ঢুকলেও পড়তে হচ্ছে ব্যাপক পুলিশি জেরায়। সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ।