জাতীয়করণসহ ৫ দফা দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
জাতীয় বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাজোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পান। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসিক এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান, যা অমানবিক।
উৎসব ভাতা ও বাড়িভাড়া স্কেলভিত্তিক দেওয়াসহ চিকিৎসা ভাতা এক হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের থেকে দফতরে ডেপুটেশনে নিয়োগের দাবি জানিয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি সরকারের কোনো দফতরে ডেপুটিশনে না থাকায় তাদের অধিকারের কথা সরকারের কোনো মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা যায় না। তাই এমপিএভুক্ত শিক্ষক সমাজ মনে করে, মাধ্যমিকের মহাপরিচালক আলাদা করা হোক এবং তা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হোক। এছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি আনুপাতিক হারে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া হোক।
এ সময় জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করতে হবে; এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে; এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে ডেপুটেশনে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে; এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আদলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রত্যেকটি বিষয়ে মানবণ্টন দিয়ে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবণ্টনের নির্দেশনা দিতে হবে এবং এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন স্কেল ৬ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী।