Logo
Logo
×

জাতীয়

ট্যানারিতে শিল্প গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম

ট্যানারিতে শিল্প গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান

চামড়া শিল্পে শিল্প-গণতন্ত্র, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিতকরণে আইনি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন শ্রম বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে ট্যানারি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য বিদ্যমান জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়নের আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও সলিডারিটি সেন্টারের যৌথ আয়োজনে শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে একটি অংশীজন সভায় এসব সুপারিশ করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত অন্যান্য পরামর্শের মধ্যে রয়েছে মানবসম্পদ জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ, মালিক পক্ষের দূরদর্শিতা এবং প্রগতিশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রণয়ন, নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা জোরদার করা, শ্রম নেতৃত্বের বিকাশকে উৎসাহিত করা, শ্রম কল্যাণ সুবিধা বাস্তবায়ন, যৌথ দর কষাকষির অধিকার নিশ্চিত করা এবং দায়িত্বশীল ইউনিয়ন ও শ্রমিক আন্দোলনের প্রসার নিশ্চিত করা।

স্বাগত বক্তব্যে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মনিকা হার্টসেল বলেন, যদি এই খাতে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে কেবল শিল্পের বৃদ্ধিই নিশ্চিত হবে না, শ্রমিকদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যতও নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আগামী চার বছরের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায়। এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ট্যানারিগুলিকে অবশ্যই পরিবেশগত ও সামাজিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের উচিত যার যার অবস্থান থেকে শিল্পের উন্নয়নে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে ও পরিবেশগত মান উন্নয়নে ট্যানারি মালিকদেরও উচিত আইনের সকল অনুশাসন মেনে চলা। শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে শ্রমিক অধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একেএম নাসিম বলেন, ট্যানারি শ্রমিকরা জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম মজুরির জন্য আন্দোলন করছে না। এটিকে যদি আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বলে দাবি করি, তাহলে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো প্রতিনিধি নেই। এটি আমাদের এই শিল্পে শ্রমিক এবং নিয়োগকারীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলে।

বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজী আবদুল হান্নান বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিক অধিকার একে অপরের সঙ্গে জড়িত। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারায় রাজস্ব হারাচ্ছে চামড়া শিল্প। অর্থ সাশ্রয়ের জন্য যদি দক্ষ ও স্থায়ী শ্রমিকের পরিবর্তে অস্থায়ী অদক্ষ শ্রমিক নেয়া হয়, তবে সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অনুষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর,বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন, লেবার কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন, দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন, জিআইজেড বাংলাদেশ, সলিডার সুইস বাংলাদেশ, ওশি ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন এবং ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম