র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৭ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন চিরতরে বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিভাবান, সৃজনশীল ও নান্দনিক। তারা সবসময় র্যাগিং-বর্বরতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ইউজিসি অডিটরিয়ামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য অধিকার ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তবুদ্ধি চর্চার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান। ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধে ইউজিসি ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হবে একটা সময়ে এটা কল্পনাতীত ছিল। এখন সংবাদপত্রে র্যাগিংয়ের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। এটা দুঃখজনক ও বর্বোরোচিত ঘটনা। ২০-২৫ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো র্যাগিং ছিল না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সৌজন্যবোধ ছিল। ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকত।
উপাচার্যদের উদ্দেশে ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নতুন শিক্ষার্থীরা প্রবেশ শুরু করেছেন। তাদের প্রতি প্রভোস্ট, প্রক্টর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যুক্ত ব্যক্তিরা সুদৃষ্টি দেবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান। কমিশনের উপ-পরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের উপ-পরিচালক ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক। প্রশিক্ষণ কর্মশলায় দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল বা বিকল্প পয়েন্ট ও ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, তথ্য অধিকার আইন দেশের একমাত্র আইন, যেখানে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে এ তথ্য না দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও আইনে বলা আছে। ব্যতিক্রমী বিষয় ছাড়া সব তথ্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা এবং যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য সেবাবক্স স্থাপনের অনুরোধ করেন এবং তথ্য অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।