Logo
Logo
×

জাতীয়

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি একক মালিকানায় রাখা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি একক মালিকানায় রাখা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি নিজ নামে রাখতে পারবেন না। এমনকি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমিও ৬০ বিঘার বেশি হলে তা স্বেচ্ছায় বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় সরকার ওই জমি মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে খাস করতে পারবে। 

তবে আইনের এই বিধান এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনটি পাশের পর বিধিমালা প্রণয়ন করবে সরকার। এরপর থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। 

বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রীকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান ও যুগ্মসচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমান। 

জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এবং ভূমি সংস্কার আইনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

মন্ত্রী বলেন, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নে অনেক বাধাবিপত্তি এসেছে। অনেকে বলেছেন, এসব বিষয়ে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে। সবকিছু মাড়িয়ে একটা পর্যায়ে আসতে পেরে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় জমির মালিক ছিলেন জমিদার। ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন করে বলা হয়, কারও একক মালিকানায় ৩৭৫ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কমিয়ে ১০০ বিঘা করেন। ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা ৬০ বিঘায় নির্ধারণ করেন। কিন্তু অধ্যাদেশের আলোকে কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। তাই এটি এতদিনেও বাস্তবায়ন হয়নি।

২০১৩ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক সরকারের সময়ে জারি করা অধ্যাদেশগুলো আইনে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ভূমি সংস্কার আইন প্রণয়ন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। নতুন আইন করে সরকার তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। 

ব্যক্তির অর্জিত কৃষিজমি ৬০ বিঘার বেশি নিজ নামে রাখতে পারবেন না। তবে তিনি যদি উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হন, সেই সম্পত্তির কী হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব এবং যুগ্মসচিব (আইন) বলেন, নিজের কেনা সম্পত্তি হোক বা পৈতৃক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত হোক কোনোভাবেই ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি একক ব্যক্তির মালিকানায় থাকতে পারবে না। বিষয়টি উত্তরাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান সাংঘর্ষিক নয়।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মধ্যে কোন কোন মৌজার জমি তিনি নিজের দখলে রাখতে চান তা জানিয়ে সরকারের কাছে তালিকা পেশ করবেন। তালিকার বাইরের জমি সরকার বিধি মোতাবেক মূল্য পরিশোধ করে খাস ঘোষণা করবে। 

কেন এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো জানতে চাইলে যুগ্মসচিব খলিলুর রহমান বলেন, দেশে দিন দিন কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। সরকার সে বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে সমবায় সমিতিসহ ৮টি ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি বিধিমালায় ঠিক করা হবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, আইনটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সময় অভিজ্ঞতার আলোকে যদি আইনটি সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা করব। 

তিনি আরও জানান, যেসব স্থানে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) সম্পন্ন হয়েছে ওই সব স্থান বা জেলা, বা পৌরসভা, বা সিটি করপোরেশন বা উপজেলায় বাংলাদেশ সার্ভে বাতিল করা হবে। কারণ বিডিএসের ফলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম