এলকপের সেমিনারে বক্তারা
গুমের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম
বিশ্বের খুব কম দেশ আছে, যারা গুমের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে ওই কমসংখ্যক দেশগুলোর একটি। অথচ বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশ বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইমপাওয়ারমেন্ট থ্রো ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) আয়োজিত ‘গুম বিষয়ক প্রারম্ভিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন উপস্থাপন শীর্ষক’ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আফগানিস্তান, ব্রুনাই, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভেন থেরো সুনন্দপ্রিয় মনোনীত আলোচক হিসাবে এতে বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এলকপের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
সেমিনারে গুম বিষয়ক প্রারম্ভিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এলকপের রিসার্চ কনসালট্যান্ট অরুপ রতন সাহা।
এতে বলা হয়, গুম নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়। এতে উপযুক্ত উৎস বা তথ্যপ্রমাণ থাকে না। তাই এলকপ জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ থেকে প্রকাশিত ২০২২ সালের ৮১ জনের তালিকাকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা শুরু করে। ৮১ জনের মধ্যে এলকপের গবেষণা দল ১২ জনের সন্ধান পেয়েছে, যারা বর্তমানে তাদের পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন বা বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি আছেন। গুমের কারণগুলোর মধ্যে আন্তঃদলীয়, অন্তঃদলীয় কোন্দল এবং সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
জাতিসংঘের তালিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে কিছু অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরে এলকপ জানায়, একই নাম দুই বার, দুই ধরনের ঠিকানা দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় দুই নাগরিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের তালিকায়। এই দুইজন ভারতে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। বর্তমানে তারা ভারতেই অবস্থান করছেন।