প্রতীকী ছবি
দীর্ঘস্থায়ী কোভিড প্রভাব ফেলতে পারে মস্তিষ্কে। তৈরি করতে পারে ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি, বিভ্রানি্ত, অবসাদ, মনোযোগের অভাব আর চিন্তার অস্বচ্ছতার মতো সমস্যা। আর এসব সমস্যা তৈরি হয় কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মসি্তষ্ক অথবা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে।
শুক্রবার প্রকাশিত নেচার মেডিসিনে পোস্ট-হসপিটালাইজেশন কোভিড-১৯ স্টাডি (পিএইচওএসপি) নামের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে অক্সফোর্ড ও লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মসি্তষ্কের এ ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন প্রোটিন ফাইব্রিনোজেন ও প্রোটিন ফর্্যাগমেন্ট ডি-ডাইমারের উচ্চ মাত্রাকে। বিবিসি।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৮৩৭ জনের ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। অক্সফোর্ডের গবেষক ড. ম্যাক্স ট্যাকুয়েট বলেন, ফাইব্রিনোজেন ও ডি-ডাইমার উভয়ই রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এই রক্ত জমাট বাঁধা কোভিড-পরবর্তী মসি্তষ্কের সমস্যার জন্য দায়ী।
আরও বলেন, সরাসরি মসি্তষ্ক ও এর রক্তনালীতে ফাইব্রিনোজেন হতে পারে। আর ডি-ডাইমারের কারণে ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধে। আর তখন মসি্তষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি আর বিভ্রানি্তর মতো সমস্যা তৈরি হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের রোগীদের ১৬ শতাংশ অন্তত ছয় মাস ধরে চিন্তা করতে, মনোযোগ দিতে অথবা কোনোকিছু মনে রাখতে সমস্যায় পড়েন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক অধ্যাপক পল হ্যারিসন বলেন, কোভিড-পরবর্তী মসি্তষ্কের সমস্যা বোঝতে ভবিষ্যদ্বাণী ও সম্ভাব্য প্রক্রিয়া শণাক্ত করা ছিল এ গবেষণার একটি মূল পদক্ষেপ'।
লিসেস্টারের রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ক্রিস ব্রাইটলিং বলেন, কারও স্বাস্থ্যের পূর্ববর্তী অবস্থা আর কোভিড-পরবর্তী অবস্থার সংমিশ্রণ এই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরিণতি।
২০২০ সালের অক্টোবরে কোভিড ধরার পর দুই সপ্তাহ কোমায় কাটিয়েছিলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ডা. সাইমন রেটফোর্ড। বর্তমানে তিনি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সুস্থ। তবে এখনো তিনি মনোযোগে সমস্যা আর স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যায় ভুগছেন।