আইনজীবী ফোরামের হুঁশিয়ারি
দুই বিচারপতিকে বিরত রাখতে আলটিমেটাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:১১ পিএম
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উলেখ করে বক্তব্য দেওয়া বিচারপতিদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা। প্রধান বিচারপতির কাছে এ দাবি জানিয়ে তারা ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তা না করলে সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এ সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, ‘গত ১৫ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট আয়োজিত শোকসভায় আপিল বিভাগের দুজন বিচারকের বক্তব্য বিচারপতি হিসাবে নেওয়া শপথের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একজন রাজনৈতিক কর্মী যে ভাষায় বক্তব্য দেন, অনেক বিচারপতির বক্তব্যে তার প্রতিফলন আমরা লক্ষ করেছি। যারা নিজেদের রাজনীতিবিদ বিবেচনা করেন তারা ভবিষ্যতে কী ধরনের বিচার করবেন, তা বলাই বাহুল্য। এ ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসাবে প্রধান বিচারপতি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।’
সুপ্রিমকোর্টের এ আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
গত ১৫ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উলেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি।
এরপর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচিও পালন করে আসছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
আবার দুই বিচারপতির পক্ষ নিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এএম আমিন উদ্দিন ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, বিচারকদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে বিচারাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এমন দাবি করছেন।
দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরাতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে, আইনি বিষয়ে ব্যাখ্যা করা, কথা বলা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীরা বিচারপতিদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ নিয়ে কথা বলছেন।’