বাণিজ্য বাড়াতে ৭ স্থলবন্দর নির্মাণের চিন্তা করছে ভারত: প্রণয় ভার্মা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধা আরও বাড়াতে হবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, ভারত সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও ৭টি স্থলবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা করছে।
শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উভয়দেশের মধ্যে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরও বাড়াতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে কানেক্টিভিটির পাশাপাশি আধুনিকায়নের ওপর জোর দিতে হবে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও ৭টি স্থলবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা করছে। এছাড়া বাণিজ্য সহজ করতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কিভাবে কমন টেস্টিং ফ্যাসিলিটির আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে উভয়দেশের কাজ করতে তিনি আহ্বান জানান।
তিনি চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একক এবং যৌথ বিনিয়োগের জন্য চেম্বার টু চেম্বার যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান টুটুল, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন ও নবনির্বাচিত পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বক্তব্য রাখেন।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে বিনিময়ে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এছাড়া ভারত ৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি কোটায় বাংলাদেশকে রাখায় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হলো প্রস্তাবিত কমপ্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ)। এটি উভয়দেশের জন্য গেম চেঞ্জার হবে। যার মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। এটি নিরসনে বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে ভারতকে এগিয়ে আসা উচিত।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি অনুযায়ী গত এপ্রিলে সর্বশেষ ট্রায়াল রান হলেও আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী কোনো সমস্যা না থাকলে এটি ফলপ্রসূ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।