‘ধমক দিয়ে দমাতে না পেরে বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে আমেরিকা’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ধমক দিয়ে শেখ হাসিনাকে দমাতে না পেরে আমেরিকা বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে। বন্ধু বেশেই কাউকে হত্যা করা সহজ। বঙ্গবন্ধুকে কাছের মানুষেরাই হত্যা করেছে।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বুধবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বক্তব্যে বর্তমানে আমেরিকার নরম সুরের প্রতি ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু সপ্তম নৌবহরই পাঠাননি, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধের পর বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে কমিয়ে তাকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা অনেক কঠিন। অল্প কথায় বঙ্গবন্ধুকে বর্ণনা করা যায় না। তিনি হিমালয়ের মতো বিশাল। ছাত্রাবস্থায় থাকতেই পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সিক্রেটস ডকুমেন্টস যা গোয়েন্দাদের লেখা পড়তে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করি। অথচ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতেই সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী চরিত্র ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন জাতি গঠন করতে চেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি কারাগারে থেকেও বঙ্গবন্ধু বারবার সোনার বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন।
ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুয়েকা) উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুজ্জামান, ডুয়েকার প্রাক্তন সভাপতি ফখরুল হায়দার।
আবদুস সবুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে নির্মূল করার জন্য শত্রুরা বারবার আঘাত করেছেন। ১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত শত্রুরা চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করে দিতে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জুলফিকার আলী। ডুয়েকার সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন আব্দুল জলিল হাওলাদার পলাশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, আবুল কালাম হাজারী, আমিরুল হক, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।