বাংলা গণসংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ফকির আলমগীর ফাইল ছবি
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, গণসংগীতের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। গণসংগীত সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অনন্য হাতিয়ার। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণসংগীত আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সংগীতের এ ধারাটি ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের’ ১ম কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৩ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
কেএম খালিদ বলেন, গণসংগীত বলতে আমরা ফকির আলমগীরকেই বুঝি। তিনি বাংলা গণসংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এবং এটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর প্রবর্তিত ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রেখে চলেছে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গণসংগীতের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনে গণসংগীতের অসামান্য অবদান রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, গণসংগীতের সমৃদ্ধ ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরবর্তীকালে গণসংগীতের প্রতিবাদের ভাষা আরও সক্রিয় হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণসংগীত শিল্পীরা বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা তিমির নন্দী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ, বাংলাদেশে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট প্রমুখ।