সুপ্রিমকোর্টে আ.লীগ-বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিমকোর্টে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে স্লোগান-পালটা স্লোগান ও একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট বারের দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা স্লোগান দেন- এ রায় মানি না, ফরমায়েশি রায় মানি না। সরকারের পতন নিয়ে অবৈধ সরকার মানি না, মানবো না...।
এ সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশনে) সামনে অবস্থান নেন। এরই একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রথমে ঠেলাঠেলি শুরু করেন। এরপর ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হন দুপক্ষই।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের কারাদণ্ডাদেশের বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে সুপ্রিমকোর্টে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুপ্রিমকোর্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে সাজার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শেষে সরকার পতন ও ভোট ডাকাতির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসেশিয়েশনে) সামনে অবস্থান নেন। তখন পাশ দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরাও মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে থাকেন। এর একপর্যায়ে স্লোগান-পালটা স্লোগান, ঠেলাঠেলি এবং শেষদিকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় দুইপক্ষের মধ্যে। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে টাঙানো নেমপ্লেট তুলে নেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
এরই একপর্যায়ে আওয়ামীপন্থি বেশ কিছু আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে আশ্রয় নেন। এরপর আবার তারা বিভক্ত হয়ে মিছিল করতে থাকেন। সেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।