আরও বেশি উন্নয়নে দুদেশ একসঙ্গে কাজ করছে: ভারতীয় হাইকমিশনার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১০:০৪ পিএম
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, দুদেশের বন্ধন আরও শক্তিশালী এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও বেশি উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করছে। ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে আছে, থাকবে। বাংলাদেশ রেলে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আর এ উন্নয়নে ভারতও সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতের কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি রোববার বিকালে এ কথা বলেন।
রাজধানীর রেলভবন হলরুমে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক দ্বিগুণ করার জন্য এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এ চুক্তির মাধ্যম বাংলাদেশ রেল আরও গতি পাবে। নিরাপত্তার সঙ্গে সেবাও বাড়বে। ভারতীয় অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলে যেসব প্রকল্প শেষ হয়েছে এবং চলমান রয়েছে সেগুলো খুবই টেকসই হচ্ছে। ভারত বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন মানে ভারতের প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়িত হওয়া।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সহযোগিতায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা ব্রিজ ও ভৈরব ব্রিজের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে ৮টি রুটে রেল যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে ৫টি রুটে ট্রেন চলছে। ভারত-বাংলাদেশ দুটি দেশ হলেও খুবই আপন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী নাজনীন আরা কেয়া এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পক্ষে সুবাহরজিত সানা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াসিন আলী, রেলওয়ে মহাপরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম, সরদার সাহাদাত আলী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জিএম অসীম কুমার তালুকদার, পূর্বাঞ্চল জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।