১০ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
কারিগরি ত্রুটির কারণে ১০ দিন বন্ধ ছিল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্ৰিডে সরবরাহ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার।
গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় আবার উৎপাদন শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত ঘেটে দেখা যায়, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার মাধ্যমে পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
রামপাল গত ১০ জুলাই পুনরায় উৎপাদনে আসার রাতে বাণিজ্যিক উৎপাদনে থাকা প্রথম ইউনিট থেকে রাত ১২টায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৩৬১ মেগাওয়াট। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৬৬০ মেগাওয়াট হযেছে।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া। এ ছাড়া কয়লার সংকট তো ছিলই। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কুরবানি ঈদের ছুটির সময় বন্ধ হাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ দেশে তখন ছুটিতে অফিস-আদালত, শিল্প কলকারখানা বন্ধ ছিল। যদিও গত কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। ইতিমধ্যে চাহিদা ও জোগানের ঘাটতি প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কয়লাসংকটে পড়ে। মূলত, ডলারের সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারার জেরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাসংকটের কারণে এরপর গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর গত ১৭ মে এই কেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।