‘হাজিরা দিয়ে অফিস ত্যাগ’, ঈদের আগে সরকারি অফিসে উপস্থিতি কম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। সোমবার সকাল থেকে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় উপস্থিতি কিছুটা কম। বাড়ি যাওয়ার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
অনেকে ঈদের আগে এক দিন ছুটি নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন। অনেককে অফিসে এসে হাজিরা দিয়েই তাড়াহুড়া করে অফিস ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন থাকায় অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী সচিবালয়ের দপ্তরে আসেননি। খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক, জ্বালানি বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ, শ্রম ও কর্মস্থান এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অফিসে আসেননি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অফিসে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সাধারণত ছাড় দেওয়া হয়। অনেকে অফিসে এসে আগেভাগেই চলে গেছেন। সেজন্য উপস্থিতি কিছুটা কম। প্রতি ঈদের আগেই এরকম দেখা যায়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সকাল থেকে মিটিং ছিল। যাদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে-এরকম দু-একজন ছুটি নিয়েছেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে। তবে ঈদের কারণে উপস্থিতি একটু কম। কারণ, অনেকে অগ্রিম ছুটি নিয়েছেন।
দুপুরের পর সচিবালয় অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। অধিকাংশ কর্মকর্তা অফিস ত্যাগ করেছেন। কর্মচারীদেরও ব্যাগ হাতে তাড়াহুড়া করে অফিস থেকে বেরোতে দেখা গেছে।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ২৮ জুন (বুধবার) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার ছুটি। তবে এই ছুটি ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে আজ ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে ঈদের ছুটি। পরদিন ১ জুলাই থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে মোট পাঁচ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
মানুষ যেন ঈদুল আজহায় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, ঈদ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপন করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ২৭ জুন একদিনের ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঈদের আগে সাধারণত একদিন ছুটি থাকে। এবার দুই দিন ছুটি থাকছে। একদিন ছুটি থাকলে সবাই একসঙ্গে গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা থেকে বের হয়। ফলে যানজটসহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে বেশি। এবার রোজার ঈদের আগে সরকার একদিন বাড়তি ছুটি দেওয়ায় যাত্রাপথে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়নি।