কোস্টগার্ডে যুক্ত হলো ৫ নৌযান, কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১২:১৪ পিএম
দেশীয় শিপইয়ার্ডে তৈরি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্রগামী পাঁচটি জাহাজের কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জাহাজগুলোর কমিশনিং করেন তিনি।
জাহাজ পাঁচটি হলো— বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, দুটি টাগ বোট ও একটি ফ্লোটিং ক্রেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
জাহাজগুলোতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর মাধ্যমে বহির্নোঙরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক সমুদ্র সীমানায় টহল প্রদান এবং যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নৌযান দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোস্টগার্ডের অপারেশনাল কার্যক্রম বেগবান হবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে নির্মিত দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল বিসিজিএস জয় বাংলা ও বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা। আর খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুইটি টাগ বোট বিসিজিটি প্রত্যয়, বিসিজিটি প্রমত্ত এবং একটি ফ্লোটিং ক্রেন বিসিজিএফসি শক্তি।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবিসংবলিত ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণীত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলে থাকাবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল’ উত্থাপন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। পরে এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্ল্যাটফরম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য।