ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চালানোর নির্দেশ আইজিপির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আইজিপি সোমবার বিকালে পুলিশ সদর দফতরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা, সড়ক, রেলপথ ও নৌপথের নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। আইজিপি বলেন, কুরবানির পশুবাহি গাড়ি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া থামানো যাবে না। তিনি সড়ক অথবা নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহণের ক্ষেত্রে পশুবাহী গাড়ির সামনে গন্তব্যস্থান বা পশুর হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টাঙ্গানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
আইজিপি কুরবানির পশু পরিবহণে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করেন। জাল টাকা প্রতিরোধে পশুর হাটে জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসানোর নির্দেশ দেন।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। মালিক- শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ির চালক গাড়ি না চালিয়ে হেলপারকে দিয়ে গাড়ি চালায়। এর ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এ বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য তিনি মালিক-শ্রমিকদেরকে অনুরোধ করেন।
দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। ঈদের ছুটিতে অনেকে বেড়াতে বিনোদন কেন্দ্রে যাবেন। তিনি বিনোদন কেন্দ্রের নিরাপত্তা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, গত ঈদুল ফিতরে আমরা সবাই মিলে একই প্লাটফর্মে একযোগে কাজ করে জনগণকে একটি স্বস্তিদায়ক ঈদ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। ফলে আমাদের সম্পর্কে জনমনে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায়ও একটি সুন্দর ঈদ উপহার দিতে সক্ষম হব। পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতারা অতীতের ন্যায় আগামী ঈদেও যানবাহন চলাচলে পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা, গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা সংক্রান্ত, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কুরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ইত্যাদি উপস্থাপন করেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, এটিইউর প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি মাজহারুল ইসলাম, নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, পিবিআইর প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহাবুবর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ জাহাজ মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।