যে কোনো মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় জরুরি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যতে যে কোনো মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের একজনকেও পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিশ্ব কতটা অপ্রস্তুত ছিল। কোভিড প্রতিরোধের উপায় কারো জানা ছিল না। কিন্তু মানুষ তার সামর্থ্য দিয়ে, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে। কিন্তু এটাই শেষ নয়। আগামীকাল কোভিডের চেয়ে অধিক বিপজ্জনক কিছু আসবে কি না বা অন্য কোনো মহামারি আসবে কি না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। এজন্য যে মানুষগুলো পৃথিবীতে বাস করছে, তাদের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখানে বিশ্বের জ্ঞানী ব্যক্তিরা অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে মানবতার কল্যাণে যে সৃজনশীলতা ও গবেষণা প্রয়োজন তা বাংলাদেশ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ওয়ান হেলথ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রাণিরোগ প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ-এর জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওয়ান হেলথ সচিবালয়ের চেয়ারম্যান ও আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।