Logo
Logo
×

জাতীয়

উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম

উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ।

রোববার বিকালের মধ্যে এ ঝড় সাগর থেকে পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রাবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে।

সকাল ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, পায়রাবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিপপূর্বে এবং মোংলাবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-উত্তপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার বিকাল নাগাদ মোখা মিয়ানমারের সিত্তের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শেষ করে পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রাবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম