চিনির দাম আরও বেড়েছে। কেজি প্রতি ১৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি চিনি খোলা বাজারে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোছা. শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অনেক হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলেই আগামী সপ্তাহ থেকে সরকার অ্যাকশনে যাবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদকিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'বৈশ্বিক বাজার বিবেচনায় নিয়ে আমরা তো একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। তবে সমস্যা হচ্ছে, আমরা খুব বেশি চাপ দিলে বাজার থকে পণ্য সরে যায়। তখন উভয় সংকটের মধ্যে পড়ে যাই। তাই বৈশ্বিক বাজার বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।'
গত ১৫-২০ দিনে বৈশ্বিক বাজারে চিনির দাম টনপ্রতি ৪৫-৫০ ডলার করে বেড়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৯৯ শতাংশ চিনি আমদানি করতে হয়। এসব কারণে বিদেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি। বৈশ্বিক দাম বাড়লে আমাদের ওপর প্রভাব পড়বেই। আবার কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুবিধাও নেয়। সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা চিনির একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপর বাজারে অতিরিক্ত দামে পণ্যটি বিক্রি হলে আগামী সপ্তাহ থেকেই অ্যাকশনে যাব।
বেশ কিছুদিন ধরে বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিনি উধাও। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে কী চলছে, সেটা বড় কথা নয়। ট্যারিফ কমিশন দেখে কত দামে আমদানি করা হয়েছে, তার একটি গড় মূল্য নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়। এখানে ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত রমজানে চিনির দাম যৌক্তিকপর্যায়েই ছিল। তেলের দাম যে বৈশ্বিকভাবে বেড়েছে, তা কিন্তু না। ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা অবস্থায় ছিল। সেই সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। সেই টাকাটা তেলের দামে যুক্ত হওয়ায় দাম বেড়েছে।