ফাইল ছবি
দেশের প্রত্যেক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পৃথক লেন চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোনো 'বিশেষ' ব্যক্তির অপরাধের কারণে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ না করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে এ সম্পূরক আবেদন করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খোন্দকার, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খোন্দকার।
আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা এ রিট করেন। এর আগেও তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট করেছিলেন। যেটি গত ১৫ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। এরপর নতুন করে তিনি আবার রিট করেন। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়।
পর দিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ২৬ জুন এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়- ২৭ জুন ২০২২ সোমবার ভোর ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
তবে গত ২২ এপ্রিল উদযাপিত ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে সরকার; যা এখনো কার্যকর রয়েছে।