Logo
Logo
×

জাতীয়

মজুতদারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম

মজুতদারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মজুতদারি বন্ধে কাঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফুড গেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান ও চালের ব্যবসা করতে পারবে না। 

রোববার দেশব্যাপী একযোগে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল এবং গম কেনার কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সচিবালয়ের দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যেসব ব্যবসায়ী ধান, চাল ক্রয় করতে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠপর্যায়ের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আজ থেকে দেশে সব খাদ্যগুদামে ধান ও চাল কেনা শুরু হলো। সরকার ধান সংগ্রহ করে শুধু কৃষকদের স্বার্থে। কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সরকার তা নিশ্চিত করতে চায়।

তিনি বলেন, আমরা ধান কেনার টার্গেটে পৌঁছাতে পারি বা না পারি, সরকার কেনার মধ্যে থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর কৃষকদের ঠকাতে পারবে না। আমার বিবেচনায় এ মুহূর্তে কৃষকই হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আট লাখ বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। তারপরও কৃষক যদি ন্যায্য মূল্য না পান, আমরা আরও বেশি কিনব। কৃষক যেন কষ্ট না পান, আমরা অবশ্যই তা নিশ্চিত করব। 

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান দিতে এসে কৃষক যেন কষ্ট না পান, হয়রানির শিকার যেন না হন। কৃষক যেন ধান দিতে এসে ফিরে না যান। 

তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ হবে যে কৃষক ধান দেবে তার বাড়ি গিয়ে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দিয়ে ময়েশ্চার (আর্দ্রতা) পরীক্ষা করা। ধানের নির্ধারিত আর্দ্রতা থাকার পর কোনো কৃষককে ফিরিয়ে দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তিনি বিচারের আওতায় আনারও নির্দেশ দিয়েছেন। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত আমনে যে মিল মালিকরা চাল দিতে চুক্তি করেনি, এবারও তারা চুক্তি করতে পারবে না। ফিট লিস্টে যেন কোনো ডিসি তাদের তালিকা না পাঠায়, এটা মনে রাখতে হবে। যারা চুক্তির ৫০ শতাংশের বেশি দিয়েছেন, তাদের চুক্তি করতে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ডিপজিট মানিও ফেরত দেওয়া হচ্ছে। যারা ৫০ শতাংশের কম দিয়েছে, তাদের ডিপজিট মানি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তবে চুক্তি করতে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মজুতের বিষয়ে আমরা এবার শক্ত অবস্থানে আছি। আমরা নতুন আইন করছি। এটি আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে। মজুত, পরিবহণ, চালের বস্তায় ধানের দাম লেখা-নানাবিধ বিষয়ের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এ আইনটি মোবাইল কোর্টের তফশিলভুক্ত থাকবে।

১৩ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরে আরও চার লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। 

অর্থাৎ সর্বশেষ আট লাখ টন ধান ও ১২ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। গমের সংগ্রহ মূল্য ৩৫ টাকা। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টন। ধান, চাল ও গম সংগ্রহ চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম