ওমরাহ পালনে গিয়ে ফ্লাইট মিস, বিপাকে চুয়াডাঙ্গার ৪৫ মুসল্লি
আল-মামুন
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম
ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে আটকা পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকার ৪৫ জন মুসল্লি। বিমানের ফ্লাইট মিস করে তারা এখন জেদ্দায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
আটকাপড়া মুসল্লিদের একজন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেগমপুরের আবুল মনসুর আহমেদ। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, আমরা গত ৪ মার্চ কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আলজাজিরা এয়ারলাইন্সে সৌদি আরবে আসি। আমাদের ফিরতি ফ্লাইট ছিল ১৯ মার্চ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। কিন্তু আমরা মদিনা থেকে জেদ্দায় পৌঁছাতে গাড়িতে ৯ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান। ভাষাগত সমস্যার কারণে আমরা তাকে কিছুই বলতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভোর ৫টায় জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, আজ আর যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, পরদিন যেতে হবে। তারা আমাদের বিমানবন্দরেই ঢুকতে দেননি। বিমান মিস করে আমরা এখন খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমাদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
আবুল মনসুর আরও জানান, তাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করার চেষ্টা করছেন কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তারা। মুসল্লিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বিমানের টিকিটের জন্য অতিরিক্ত ১২ হাজার করে টাকা দাবি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জহিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আসলে এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই। মদিনা থেকে উনাদের রাত ৯টায় গাড়িতে ওঠানো হয়। কিন্তু পথে তারা দুই-তিন জায়গায় ৪ ঘণ্টা সময় নষ্ট করেছেন। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে জেদ্দায় পৌঁছাতে না পারায় বিমান মিস করেছেন; যার কারণে টিকিটগুলো নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এয়ার লাইন্সের সঙ্গে কথা বলছি, তারা এখন বলেছে টাকা দেন, টিকিট কেটে দেব। এখন একটি টিকিটের জন্য নতুন করে ২৭ হাজার টাকা চাচ্ছে। উনারা (মুসল্লি) টাকা দিলে টিকিট কেটে দেব। আমরা কেন টাকা দেব। উনারা দেরি করেছেন, এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।