আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। সমাজের অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর এককভাবে দিচ্ছেন। জমিসহ ঘরের মালিকানা পেয়ে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশ নিচ্ছেন এবং ভূমিকা রাখছেন।
শনিবার সাভারের ভাকুর্তায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের নির্মাণাধীন গৃহ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরও বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে প্রায় ২ লাখ গৃহ জমিসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান এবং দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী এগুলো হস্তান্তর করবেন। প্রকল্পটি গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের পাশাপাশি দুই শতক জমির মালিকানা, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন সুবিধাসহ উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।
আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার- এ প্রতিপাদ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪১টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫১টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১২০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ২৫টিসহ মোট ২৩৭টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ে ভাকুর্তার ৩৭টিসহ সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭১টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
ভাকুর্তা আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন কালে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এখানকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী, ধর্মান্তরিত অসহায় ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সাভার উপজেলা প্রশাসন খাস জমি চিহ্নিত করে অবৈধ দখলকৃত জমি উদ্ধারের মাধ্যমে গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করছে। সবাইকে ঘর প্রদানের মাধ্যমে সাভারসহ ঢাকা জেলাকে ভূমিহীন মুক্ত করার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।