জাতীয় পার্টির এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে যা থাকছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম
নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। এছাড়াও কৃষি ও বাজার মনিটরিংসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার অঙ্গীকার থাকছে তাদের ইশতেহারে।
জাতীয় পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে ইশতেহার ঘোষণা করবে দলটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রূপরেখা থাকছে দলটির ইশতেহারে।
প্রতীক বরাদ্দ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর পর ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে দলটি। প্রাদেশিক সরকার, নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের কথা থাকছে ইশতেহারে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষা প্রণয়নের কথাও এতে বলা হয়েছে। কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি প্রদান, সহজলভ্য ব্যাংক ঋণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও থাকছে দলটির রূপরেখা।
নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার রক্ষা এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নত ও আধুনিক দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা থাকবে নির্বাচনি ইশতেহারে। এছাড়াও ক্ষমতায় গেলে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও তাদের চাহিদা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে দলটি। ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার কথাও সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিকল্পনা, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সৌরবিদ্যুতের দিকেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে।
জাতীয় পার্টির এবারের ইশতেহার জনগণের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। যুগান্তরকে তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদার ওপরই এবারের ইশতেহারে আমরা জোর দিচ্ছি। কর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূর করা এবং উপজেলা ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। এ ছাড়া ঢাকা শহর এখন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমরা এটিকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ক্ষমতাটিকে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে দেব।