জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ৩০০ আসনেই লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করব। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা দীর্ঘদিন পার্টিতে অবদান রেখেছেন, এলাকায় তার জনপ্রিয়তা, দেশ ও মানুষের প্রতি তার কতটুকু দরদ আছে, এসব বিবেচনা করেই আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করব। আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরা চাই সাধারণ ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বরিশাল, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাঝে গণমাধ্যমকর্মীদের মুজিবুল হক চুন্নু এসব কথা বলেন। 

এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও দলটির মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি জিএম কাদের এমপির সভাপতিত্বে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সৈয়দ দিদার বখত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রোববার ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। 

মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমাদের সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ আজও (শনিবার) আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তিনি তার (বেগম রওশন এরশাদ) জন্য, ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্য তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন। তার (বেগম রওশন এরশাদ) লোক এলে আমরা মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব। বেগম রওশন এরশাদ বললে আমরা তার মনোনয়ন ফরম পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেব। আমার মনে হচ্ছে আজ হয়তো মনোনয়নের জন্য লোক পাঠাবেন। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে যারা ফরম তুলতে পারেননি, তারা পার্টির চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে মনোনয়ন ফরম তুলতে পারছেন।