
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
স্বামীকে লুকিয়ে রেখে মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে গুমের মামলা, অতঃপর

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

আরও পড়ুন
বরগুনার বামনা উপজেলার ৩ নম্বর রামনা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনা গ্রামে স্বামীকে লুকিয়ে রেখে মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে গুমের মামলা দেন লাইলী বেগম (৫৪)।
শুক্রবার সকালে লাইলীর স্বামী আ. খালেককে বামনা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার কাজলার পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, গত বছর ১৫ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে নিজের মেয়ে ও মেয়ে জামাইসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন শাশুড়ি লাইলী।
মামলার আসামিরা হলেন- মেয়ে জামাই উপজেলার দক্ষিণ কাকচিরা গ্রামের মো. হুমায়ুন হাওলাদার (৩৫), মেয়ে ডলি আক্তার (৩০), আলআমীন (২৮), মুন্নি বেগম (২৩), রাসেল খান (২৬) ও শামীম (২৩)।
হুমায়ুন হাওলাদার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন আত্মীয়র সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এ কারণে তারা কৌশলে তাকে ফাঁসানোর জন্য তার শ্বশুরকে লুকিয়ে রেখে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর পরে আমি শ্বশুরের অবস্থান জানতে খোঁজ নিতে শুরু করি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পর তার অবস্থান জানতে পারি। আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে মামলার প্রধান সাক্ষী তার ছেলে মামুনের কাছে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলারপাড় এলাকায় রয়েছেন তিনি। সেখানে একটি খামারে তিনি চাকরি করছেন। আমি অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরেই বিষয়টি বামনা থানায় জানালে পুলিশ যাত্রাবাড়ীর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ওসি মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন হুমায়ুনের সঙ্গে তার শালী শিরিনের মধ্যে পারিবারিক কোন্দলের সৃষ্টি হয়। তারই আলোকে শিরিন তার বাবা খালেককে সরিয়ে রেখে কোর্টে একটি গুমের মামলা করেন। কোর্ট থেকে সরাসরি উদ্ধারের জন্য আমাদের একটি আদেশ দেন। সেই আদেশের আলোকে আমাদের এসআই উওম কুমার দাস তার একদল পুলিশ নিয়ে ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন।