
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে আইনি ব্যবস্থার কার্যকর প্রয়োগের দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

প্রতীকী ছবি
আরও পড়ুন
সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ না করতে দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ঘটনাগুলো সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির নিরাপত্তার জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
একই সঙ্গে নারী নির্যাতন ঘটনা রোধ, নারীদের স্বাধীন চলাফেরা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রক্ষার জাতীয় সংলাপ এবং উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানায় ব্লাস্ট।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এসব দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, যৌন হয়রানি, অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন ও অনলাইন সহিংসতার ঘটনা উঠে এসেছে, যা সমাজে নারীদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। ভুক্তভোগীদের প্রতি বিদ্যমান সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যেমন- চরিত্রহনন ও ভিকটিম ব্লেমিং (ভুক্তভোগী দোষারোপ) বন্ধ করা, পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।ব্লাস্ট দাবি জানাচ্ছে যে, দোষীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও আইনি সহায়তা এবং পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রয়োজন।’
এতে বলা হয়, ‘এভাবে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশের সংবিধান, বিদ্যমান আইন বিশেষত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); শিশু আইন ২০১৩, দণ্ডবিধি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনসহ নির্যাতন প্রতিরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন ও নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডো) অনুসারে নারীর সমতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, চলাফেলার স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
বিজ্ঞপ্তিতে ব্লাস্ট জানায়, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের পক্ষ থেকে সমসাময়িক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে পরিমার্জিত রূপে দাবিগুলো বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে আমাদের প্রত্যাশা, শিশু আছিয়াসহ সব নির্যাতিত শিশু ও নারীর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে হলে কেবল শাস্তির দাবি নয়, বরং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আইনি সহায়তা জোরদার করা এবং সহায়তা কেন্দ্র ও ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।