লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন হাওড় সমস্যা সমাধানে ১১ দফা
যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
দেশের বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে হাওড় উন্নয়ন আন্দোলন। এছাড়াও হাওড়ে ইজারা প্রথা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হাওড়ের সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই প্রস্তাব পেশ করে সংগঠনটি।
হাওড় উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বত্তৃদ্ধতা করেন জাতীয় পেনসন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান, সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসান, আ. ওয়াহাব, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. এমদাদুল হক প্রমুখ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, হাওড়ে ইজারা প্রথা বন্ধ করতে হবে, ইজারা দেওয়া জায়গাগুলো উদ্ধার করে সেগুলোকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করতে হবে। এসব জায়গায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এতে করে এসব স্থান দেশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে। পরবর্তীতে এসব পোনা গোটা হাওড়ে ছড়িয়ে যাবে। এ ছাড়াও হাওড় অঞ্চলে একটি কৃষি ও জলবায়ু বিশেষায়িত বিশ্ববদ্যালয়, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার আহ্বানও জানান তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রায় ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হাওড় অঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের বাসস্থান। এখানকার প্রধান জীবিকা কৃষি ও মৎস্য আহরণ। দেশের মোট ধান উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। তবে বর্ষাকালে হাওড়গুলো ১০-১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যা কৃষি ও বসবাসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের হাওড়বাসীদের ৯০ শতাংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, আর বাকিরা মাছ ধরা, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালনসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।