বিবিএস অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা উপদেষ্টা
এমপিও শিক্ষকদের সঞ্চয়ের ৬ হাজার কোটি টাকা গায়েব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
প্রতীকী ছবি
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জমানো ৬ হাজার কোটি টাকা যে ব্যাংকে রাখা হয়েছিল সেটি দেউলিয়া হওয়ায় তাদের সঞ্চয়ের কোনো টাকাই এখন আর নেই। শিক্ষকদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকটিতে রাখা হয়েছিল। পরস্পর যোগসাজশে এটি করা হয়। এই (৬ হাজার কোটি) টাকা কম নয়। এই অর্থ হলে আমরা শিক্ষকদের পেনশনসহ সব দায়দেনা মেটাতে পারতাম।
বুধবার অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর (বিবিএস) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিকসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কেএএস মুর্শিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক এসএম শাকিল আখতার এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ভালো কথা হলো রেমিট্যান্স বাড়ছে। এই রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি আশা জাগাচ্ছে। রেমিট্যান্সের অর্থ গ্রামে যাচ্ছে। ফলে সেখানে সেবা খাত চাঙা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগে পরিসংখ্যান তৈরিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল। কিন্তু এখন সে পথ বন্ধ করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান আইন সংশোধনের মাধ্যমে এটি করা হবে। এর আগেই আমি প্র্যাকটিস শুরু করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আমার স্বাক্ষর লাগে। আমি চোখ বন্ধ করে সই করে দিই। পরের দিন পত্র-পত্রিকায় দেখি কি তথ্য দিয়েছে বিবিএস। এছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে অন্তত ভুয়া তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো লুকোচুরিও সম্ভব নয়।