ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য সংস্থাটি নির্বাচন কমিশনের কাছে নথি চেয়েছে।
রোববার নির্বাচন ভবনে গিয়ে দুদকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ নথি চায়। ওই দলটি নির্বাচন ভবনে সংরক্ষণ করা ইভিএম পরীক্ষা করে দেখেছে।
পরে দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিম্নমানের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযান চালানো হয়েছে। ২০১৮ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনা হয়। এর মধ্যে এক লাখ ৫০০ মেশিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়।
তিনি বলেন, ইসি তিন জায়গায় এসব সংরক্ষণ করে। আঞ্চলিক ১০টি কার্যালয়, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ও নির্বাচন কমিশনে এসব ইভিএম সংরক্ষণ করা হয়। র্যানডম ভিত্তিতে ইসিতে সংরক্ষিত মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটি মেশিন আমরা পরীক্ষা করে দেখি। একটি অচল এবং বাকিগুলো ঠিক আছে।
তিনি আরও বলেন, নিম্নমানের মেশিন কেনার বিষয়ে আমরা কিছু রেকর্ড সংগ্রহ করেছি। বাকি রেকর্ডপত্রের রিকুইজিশন দিয়েছি। নিম্নমানের মেশিন বেশি দামে কেনার অভিযোগ ছিল। রেকর্ডপত্র চেয়েছি। সেগুলো পেলে প্রতিবেদন দাখিল করব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কেনে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। আইন সংশোধন করে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহারও করা হয়।