জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে লিখিত মতামত দিল সাধারণ আলেম সমাজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে ‘সাধারণ আলেম সমাজ’ তাদের লিখিত মতামত দিয়েছে। এই মতামতে জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়ভিত্তিক ও ইসলামি মূল্যবোধসমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায় সাধারণ আলেম সমাজ।
এতে বলা হয়, সাধারণ আলেম সমাজ বাংলাদেশের ইসলামি মূল্যবোধ ও ধর্মীয় এবং জাতীয় ঐতিহ্যের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এই সংগঠনের ভূমিকা অসামান্য, বিশেষত ইসলামি চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে জনগণের সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে গাশত কর্মসূচির মতো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সাধারণ আলেম সমাজ। আলেমদের নেতৃত্বে, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এবং ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সাধারণ আলেম সমাজ বিশ্বাস করে, এই গণঅভ্যুত্থান স্রেফ গণআন্দোলন নয়; বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে এই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাংবিধানিক কাঠামোতে এর প্রতিফলন ঘটানো এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।
এতে বলা হয়- সাধারণ আলেম সমাজ জুলাই ঘোষণাপত্রে শহিদ ও আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, নেতৃত্বের স্বীকৃতি, দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া, সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ এবং সর্বস্তরের ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপের অঙ্গীকার যুক্ত করার মতামত দিয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ আলেম সমাজ বলছে, রাষ্ট্রপতি অপসারণের মধ্যদিয়ে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে দেওয়াই প্রধানত এই ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। যদি এটি করতে না পারে, তাহলে অধ্যাদেশের মাধ্যমে হলেও ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য ও কাঠামোকে কার্যকর করতে এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে। কারণ, জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতির জন্য প্রোক্লেমেশন যদি হয় প্রথম পদক্ষেপ এবং তাহলে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশ হবে দ্বিতীয় পদক্ষেপ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- সাধারণ আলেম সমাজ মনে করে, এই বিপ্লবের সাফল্য নির্ভর করছে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার ওপর। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, জুলাই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক এবং সার্বিক রাষ্ট্র গঠনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।