দাম কমা-বাড়ার মধ্যে পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ টাকা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

সরবরাহ পর্যাপ্ত, তবুও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা ও মাসের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক মাস আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হলেও দেশি জাতের সরবরাহ বাড়ায় ৬০-৭০ টাকায় নেমেছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ৫০-৬০ টাকা ছিল। পাশাপাশি শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার। ফলে কমেছে দাম। স্বস্তি ফিরেছে মাছের বাজারেও।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানায়, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কম ছিল। প্রতি কেজি সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা। সঙ্গে দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতার গুনতে হয়েছে ৭৫০-৭৮০ টাকা।
কাওরান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সালাউদ্দীন বলেন, কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীদের একটা সিন্ডিকেট আছে। তারা সময় অসময় অতি অতি মুনাফা করতে দাম বাড়ায়। এখন বিয়ের মৌসুম থাকায় মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ টাকার আশপাশে থাকার কথা।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দাম। শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ৫০ ও ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এক মাস আগে এই একই পেঁয়াজ ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে।
কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. সোনাই আলী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে।
খুচরা বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। প্রতিকেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, বিচি ছাড়া শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বাজারে সবজির দাম কমেছে। গত বছর একই সময় দাম আরও কম ছিল। আশা করছি আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমে আসবে।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় মাছের দামও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকার নিচে কেজিপ্রতি কোনো মাছ না পাওয়া গেলেও কেজিতে ২০ টাকা কমে পাঙাশ ও তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ২০০-২৩০ টাকা ছিল। শিং মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০, কার্প ২২০-২৪০, সরপুঁটি ২০০, চিংড়ি ৮০০, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল মাছের কেজি ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নয়াবাজারের মাছ বিক্রেতা মো. মকবুল বলেন, চাষের মাছের সঙ্গে নদীর মাছেরও সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দাম কিছুটা কমছে। শীত মৌসুমে মাছের জোগান বেশি থাকে। দামও ক্রেতার নাগালে থাকে। তবে দাম কিছুটা কমলেও তেমন ক্রেতা নেই। কারণে বিক্রি ভালো হচ্ছে না।