অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বাদী হয়ে মামলাটি করেন সংস্থার উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আনিসুল হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ কোটি ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেফতার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত তিন সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে জয়ী হন আনিসুল হক।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য বকুলের বিরুদ্ধে মামলা : এদিকে নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, সাবেক সংসদ সদস্য বকুলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ৮টি ব্যাংকে ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।