বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন
অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
শুরু হয়েছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ। মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে এ শুমারির মূল কাজের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিবিএস চত্বর থেকে র্যালি ও তথ্য সংগ্রহ কাজের উদ্বোধন করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি সফল করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসাবে জনসচেতনতা বাড়াতেই র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এদিন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্রসহ নানা উপায়ে চলছে প্রচার কার্যক্রম।
র্যালিতে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক এসএম শাকিল আখতার, ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ বিবিএসের সব পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিবিএস জানায়, অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে প্রায় ৭০টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এবার শুমারিই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।
এর আগে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন জানান, শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিওকোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগ্রহ করা সব তথ্য-উপাত্ত গোপন অবস্থায় থাকবে। এর মাধ্যমে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী একদিকে তথ্য সংগ্রহে শুমারি কর্মীদের সহযোগিতা করা অপরদিকে এই আইন দ্বারা জনসাধারণের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।
সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।