গণঅভ্যুত্থানে আহত কাজলকে দেখতে হাসপাতালে নাহিদ, নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হন কাজল। যাত্রাবাড়ীতে আবু সাঈদের মতো দুহাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের গুলিতে মাথায় আহত হন তিনি। ভর্তি হন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে (নিনস)। গত তিন মাস ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধীরে ধীরে কাজল উন্নতি হতে থাকেন। কিন্তু গত দুদিন আগে হঠাৎ করে ইনফেকশন হয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। এতে তার রক্তচাপ কমে গিয়ে শকে চলে যান। পরে নিনসে বোর্ড করে চিকিৎসা দেওয়া হতে থাকে। শনিবার সকাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর বোর্ড মিটিং বসে। তার অবস্থা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে জানানো হয়। কাজলের অবস্থা জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিনসে পাঠান। নাহিদ এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে দ্রুত থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে আজকে শনিবার হওয়ায় ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য উপদেষ্টা তার ভিসা ও খরচের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। দুই মন্ত্রণালয় থেকেই সবুজ সংকেত পান। পরে সিদ্ধান্ত হয় কাজলকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেওয়া হবে।
এর আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে গণবিপ্লবে আহত মুসাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে সিএমএইচে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভিসা না থাকায় কাজলকে আজ থাইল্যান্ড নেওয়া সম্ভব হচ্ছে রা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল রোববার ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা পাওয়ার পরই থাইল্যান্ডের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রওনা দেবেন কাজল।
এদিকে কাজলকে দেখতে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যের সহকারী উপদেষ্টা অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক আবু জাফর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ডা. আহাদ।