Logo
Logo
×

অন্যান্য

প্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য রয়েছে: আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য রয়েছে: আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী

ফাইল ছবি

প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের পদোন্নতি ও সুযোগ সুবিধাপ্রপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। 

তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন, এনেসথেসিয়া ডাক্তার আর সার্জনের পদোন্নতি কি এক হয় বা হবে? হবে না। সুতরাং ক্যাডারের মধ্যেই এই ধরনের অনেক বৈষম্য রয়েছে। এসব বৈষম্যের মধ্যে যেগুলো আমলে নেওয়ার যোগ্য সে সব বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করব। বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে প্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী আরও বলেন, বিগত সরকারের সময় অযৌক্তিকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে পদ নেই সেখানে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের পদায়ন করা হয়েছে। ফলে একেকটি মন্ত্রণালয়ে ৭-৮ জন অতিরিক্ত সচিব কর্মরত। অথচ তাদের পদ নেই কিন্তু তারা পদোন্নতি পেয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, আগে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতির পূর্বে দেখা হতো শূন্য পদ আছে কি না। বিগত সরকার তা দেখেনি। তারা ঢালাওভাবে পদোন্নতি দিয়েছে। এগুলো অযৌক্তিক কাজ হয়েছে। এসব বন্ধের জন্য কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করবে বলেও জানান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে সরকারের কাছে প্রশাসন সংস্কারের সুপারিশ পেশ করা হবে। 

অপরদিকে পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের বিষয়ে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, প্রশাসনে ক্যাডারের কর্মকর্তারা ব্যাচভিত্তিক দ্রুত পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা (আদার্স ক্যাডার) পদোন্নতি ও সুযোগ সুবিধা কম পেয়ে থাকেন। ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাই সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন- এমন অভিযোগ আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। তারা সব ক্যাডারের ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি ও সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন। 

তারা আরও দাবি করেন, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির আগে পরীক্ষা নেওয়া এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।তারা আরও জানান আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ কর্মের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন না। কারণ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সুযোগ কম। কারণ শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সর্বত্রয় কর্তৃত্ব করে বেড়ায়। 

আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তারা ক্যাডার বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডার এবং আদার্স ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা নেওয়া হয়। এটা শুভংকরের ফাঁকি। তারা দাবি করেন, আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে শূণ্য পদ ছাড়া পদোন্নতি দেওয়া হয় না। পক্ষান্তরে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতি দেওয়ার সময় পদ না থাকলেও ২-৩শ কর্মকর্তাকে এক সঙ্গে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

বৈঠকে আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তারা দাবি করেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ৪-৫ বছর অন্তর পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। পদ না থাকলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। কিন্তু তারা ১২-১৩ বছর চাকরি করেও সময়মতো পদোন্নতি পান না। 

আরও বলা হয়, আদার্স ক্যাডারের জন্য প্রশাসন ক্যাডারের মতো নানারকম সুযোগ-সুবিধাও নেই। এ কারণে তারা অভিন্ন ক্যাডার, সব ক্যাডারের পদোন্নতি একসঙ্গে দেওয়া এবং আর্থিক সুবিধাসহ অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে জোরালো দাবি জানান। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম