জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে বিদেশি এলএনজি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি গ্যাস। বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে আমদানি করা ওই গ্যাস ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ সংকট ও রোলিং ব্ল্যাকআউটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে ব্যয়বহুল ও দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি গ্যাস আমদানির পথ থেকে সরে আসতে বাংলাদেশের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘ব্যয়বহুল এলএনজির বিস্তার : বিদেশিদের এলএনজিসংক্রান্ত স্বার্থ যেভাবে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে’ শিরোণামে গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি মার্কেট ফোর্সেস, ফসিল ফ্রি চট্টগ্রাম, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) যৌথভাবে প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ওয়াটারকিপার্সের কোঅর্ডিনেটর শরীফ জামিল, ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশনের (এনআরসিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, এশিয়া এনার্জি এনালিস্টের মুনিরা চৌধুরী, আইইইএফএ-এর লিড এনালিস্ট শফিকুল আলম, থ্রি-ফিফটির আমানুল্লাহ পরাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশনের (এনআরসিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন বাংলাদেশ পরিবেশ বান্ধব, সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে পারে। যা পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের জন্য কম মূল্যে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎতের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানিতে উত্তরণের উপায় হিসাবে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আনু মোহাম্মদ বলেন, এলএনজি একদিকে আর্থিক বোঝা আরেকদিকে পরিবেশগত বিপর্যয়। বাংলাদেশকে অবশ্যই আমদানি করা এলএনজি ও বিদেশি স্বার্থ প্রভাবিত বিদ্যুৎ পরিকল্পনা থেকে সরে এসে দেশীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের পথ অনুসরণ করতে হবে।