আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদ বাংলাদেশ আইন সমিতির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জনরোষে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর কিছু দুষ্কৃতকারী কর্তৃক অশোভনীয় আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ও দোষীদের শনাক্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
শনিবার বাংলাদেশ আইন সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানের এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে জাতির পক্ষে অভিভাবকতুল্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাষ্ট্র সংস্কারের মহান কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ব্যক্তিকে বিনা প্রটোকল এবং প্রটেকশনে ইউরোপের অন্যতম সভ্যদেশ সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বিমানবন্দর এলাকায় জনরোষের বিস্ফোরণে পলাতক আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী কর্তৃক অশোভনীয় আচরণ জুলাই বিপ্লবের সহস্রাধিক শহিদের রক্ত এবং গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুভূতিকে চরমভাবে আহত করে এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে অপমানিত করে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার বিষয়ে বাংলাদেশ আইন সমিতি বিস্ময় প্রকাশ করে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এতে বলা হয়, কিছু অবোধ ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের প্রতি এতটাই অন্ধ আনুগত্য লালন করছে যে, নিজের দেশের সহস্রাধিক তাজা প্রাণ নির্বিচারে হত্যার দায় বহনকারী জনবিচ্ছিন্ন দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মসমালোচনা বা অনুতপ্ত না হয়ে জনমতের বিরুদ্ধে যেয়ে উল্টো দেশে-বিদেশে প্রোপাগাণ্ডার আশ্রয়-প্রশ্রয় নিচ্ছে। ঊর্ধ্বতন আদেশ জারির ফৌজদারি দায় বয়ে বেড়ানো শতাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত একজন আসামিকে নির্লজ্জভাবে পুনর্জীবিত করতে তারা লাশের সঙ্গে মনুষ্যত্বের ফারাক করতে পারছে না বলে এহেন হীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারছে বলে প্রতীয়মান হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানের তিন মাস পেরিয়েও দেশের মাটিতে এদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত না করাই বিদেশের মাটিতে এদের উগ্রতা ছড়াতে দুঃসাহস দেয় বলে প্রতীয়মান হয়। বিচার বিভাগ এবং বিচার প্রশাসনে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে আশংকা করা যায়। ফলে বিচার প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদী শক্তির রাহুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় আশু পদক্ষেপ নিতে আহ্ববান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে দোষীদের শনাক্তপূর্বক দেশে ফিরিয়ে এনে দেশীয় আইনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হচ্ছে।