ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে ভোট পর্যবেক্ষণ
‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা নেই’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে বুধবার অনুষ্ঠিত হয় প্রতীকী নির্বাচন। বিশেষ এ আয়োজনে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এবং অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানে তরুণ নেতা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি আপডেটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেন, যা তাদের এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ দেয়।
ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি দুশ্চিন্তা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শুধু একটি দলের ওপর নির্ভর করে না। এখানে বাণিজ্যিক, কৌশলগত, ভূ-রাজনৈতিকসহ বহুবিধ কারণ রয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, শুধু প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হয়ে গেলেই একদিনে এটা বদল হয়ে যায় না। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না, খুব বেশি দুশ্চিন্তা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন কারণে বহুদিন ভোট দিতে পারেনি। তাই অন্য দেশের ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে নিজেদের জন্য আমরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে চাই। অনেক বিষয়েই আমাদের শিক্ষণীয় আছে।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহতভাবে প্রায় আড়াইশ বছরের বেশি সময় ধরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। আমরা একটা অপেক্ষাকৃত নতুন রাষ্ট্র, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। তাদের পদ্ধতি ও আমাদের পদ্ধতি ভিন্ন। আমাদের পার্লামেন্টারি সিস্টেম দুর্ভাগ্যবশত স্থিতিশীল হয়নি। অনেক টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা গেছি। অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্তমানে শঙ্কার মধ্যে আছে। তারাও সংকটের মধ্যে আছে, ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছে। তাদের মধ্যে যে বিভাজন সেটা ভয়ানক। এবার কী হবে সেটা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত। কমলা যদি স্বল্প ব্যবধানে জিতে তাহলে সংকট হতে পারে, শুধু সংকট না সহিংসতাও হতে পারে। এটা অনেকে আশঙ্কা করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদিও ট্রাম্প একটা টুইট করেছেন এবং এটি তার ভোটের বিবেচনায় ভারতীয়দের ভোট পাওয়ার জন্য করেছেন। আমি নিশ্চিত ট্রাম্প বাংলাদেশ কোথায় সেটাও জানেন না। আমার মনে হয় না এটার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে।
অন্তর্বর্তী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলডিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের জীবন্ত উদাহরণ। বাংলাদেশের তরুণদের এ অভিজ্ঞতায় সম্পৃক্ত করে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং নাগরিক অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরও ভালো বোঝার সুযোগ করে দিতে চাই। আমরা আশা করি এ আয়োজন ভবিষ্যতের নেতাদের অনুপ্রাণিত করবে যেন তারা তাদের নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের কণ্ঠস্বরের মূল্যায়ন করে।