ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি প্রশাসনের মাঠপর্যায় এবং ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগীর অপতৎপরতা রয়েছে। তারা ভূমি মালিকদের হয়রানি করে।

তিনি আরও বলেছেন, এতে অনেক ক্ষেত্রে নাগরিকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন আনা গেলে, একক ব্যবস্থাপনায় এ সেক্টরের দুর্নীতি বহুলাংশে কমে যেত। সোমবার তেজগাঁও ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয় আয়োজিত জনবান্ধব ভূমি সেবায় গণমাধ্যম বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ। 

ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ভূমি সেবার ডিজিটাইজেশন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের সেবা গ্রহণে একটু ঝামেলা হচ্ছে। এ সমস্যা দূরীকরণ নানা প্রশিক্ষণ কৌশলের মাধ্যমে নাগরিকদের পাশাপাশি ভূমিসেবা প্রদানকারীদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সিনিয়র ভূমি সচিব বলেন, সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ ডিজিটাল ভূমি জরিপ কাজ চালু হলে ভূমি বিষয়ক মামলা মোকাদ্দমা, হানাহানি বন্ধ হয়ে নাগরিকসেবা সুনিশ্চিত হবে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যম কর্মীদের সুচিন্তিত পরামর্শের আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় আরও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মকৌশল গ্রহণে কাজ করবে।

এর আগে সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সাংবাদিকদের ভূমি নাগরিক সেবা কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখানো হয়। পরে ভূমি উপদেষ্টা, ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এতে সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।