‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জরুরি’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রূপান্তরের জন্য গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলছেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান বার্তা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এখনো অনেকের মধ্যে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া দেখা যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরি। নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সম্প্রদায়-নির্বিশেষে নাগরিকদের মধ্যে অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থান-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র : নাগরিক বিতর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাংবাদিক ও লেখক আবু সাঈদ খান, বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিশিষ্ট লেখক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট তাসমিন রানা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সাইফুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপান্তরের জন্য গণঅভ্যুত্থান শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। বিভাজন ও অনৈক্য দেখা দিলে তাতে শুধু পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিই লাভবান হবে। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। জোর করে কোনো এজেন্ডা ঢুকাতে গেলে তাতে অন্তর্বর্তী সরকার অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের মধ্যে পড়বে। তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া দেখা যাচ্ছে। এই সরকারের অ্যাসিড টেস্ট হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ এর মধ্য নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আমাদের গৌরবজনক উত্তরাধিকার ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসাবে আমাদের অর্জনগুলো সঙ্গে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। হঠাৎ করে আমাদের যাত্রা শুরু হয়নি। অতীত মুছে ফেলার যে কোনো তৎপরতা আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সংহত করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বর্তমান সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ তার ১৬ বছরের দুঃশাসনে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি ধ্বংস করে গেছে। ক্ষমতাকে তারা লুটপাটের সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করেছে। এখন গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র ও সমাজের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে।