Logo
Logo
×

অন্যান্য

পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্বহালের দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম

পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্বহালের দাবি

বাংলাদেশের পাসপোর্টে পুনরায় ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল বাদে) শব্দ দুটি পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে আছে সেটিও বের করার দাবি জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশে জায়নবাদী আগ্রাসন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি তুলেন।

বক্তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ইতিহাসে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক মারাত্মক অধ্যায়। এই সংঘাতের মূল কারণ ফিলিস্তিনিদের ভূমি অধিকার, ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতি এবং উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান, বিমান হামলা এবং স্থল হামলা বহুবার সংঘটিত হয়েছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। অথচ গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অংশ। যা ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ২০০৫ সালে ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও গাজা কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের আগ্রাসন চলমান থাকায় গাজায় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের ফলে গাজার জনগণ ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। বহু মানুষ মারা গেছে, যার মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস এবং জল-বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে ফিলিস্তিনিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ইসরাইল কর্তৃক গাজায় হামলা বিশ্বব্যাপী নিন্দনীয় হলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। স্থায়ী শান্তি এবং মানবিক সংকটের নিরসনের জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে সুসংগঠিত আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

বাংলাদেশে জায়নবাদী আগ্রাসনের প্রভাবেই হাসিনা সরকার পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল বাদে) শব্দ দুটি বাদ দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বাংলাদেশেও জায়নবাদী আগ্রাসন চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের বাংলাদেশি কো-অর্ডিনেটর এবং ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুহাইমিনুল হাসান রিযাদ বলেন, আগ্রাসন বলতে আমরা বাংলাদেশে জায়নবাদীদের পক্ষে কিছু ঘটনা প্রবাহকে বুঝি। ইসরাইল কূটনৈতিক অপতৎপরতার বড় অস্ত্র হলো পেগাসাস স্পাইওয়্যার আর বাংলাদেশ ইজরাইল থেকে (তৃতীয়পক্ষ ব্যবহার করে) মোবাইলে আঁড়িপাতার এই যন্ত্র কিনেছে। এছাড়াও নানা মাধ্যমে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) বিভিন্ন প্রযুক্তি ক্রয় করেছে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে ইজরাইলি সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আবার দেশের পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ দুটি বাতিল করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সূচকে দেশের পাসপোর্টের মান বৃদ্ধির মিথ্যা অজুহাত দিলেও পরবর্তীতে দেখা যায় আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান আরও কমেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য জনমনে আরও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিনের মানচিত্রকে ইসরাইলের মানচিত্র বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব প্রফেসর ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম